আজ নিয়ে এলাম আনন্দমেলার
১৩৮৪/১৯৭৭ সালের পূজাবার্ষিকী।
সুদূর শিলিগুড়ি থেকে মাধব রায় তার শিক্ষকদ্বয় রতীশ সরকার ও রাজর্ষী সরকারের কাছ থেকে এই বইটি নিয়ে স্ক্যান করে পাঠিয়েছেন। ভবিষ্যতে আরও পাঠাবেন।
আপনারাও যদি এ কাজে সাহায্য করতে চান, তবে যোগাযোগ করুন।
আমাদের উদ্দেশ্য পুরনো হারিয়ে যাওয়া পত্রিকাগুলি সংরক্ষণ করা !
Cover Page
Content Pages
Sample Pages
Information
Date - 1977/1384 Puja Barshiki
Pages - 322
PDF Size - 117 MB
Hard Copy - Ratish Sarkar & Rajarshi Sarkar
Scan - Madhab Roy
Edit - OP
Special thanks to Sujit Kundu for providing Cover & few more pages.
Like Our Facebook Page
**** আজকের কল্পনা...আগামীর বিশ্ব ****
২৩ শে এপ্রিল বিশ্ব বই দিবস। ১৯২৩ সাল থেকে এই দিনটিকে স্মরণ করে রাখা শুরু হয়েছিল বিখ্যাত সাহিত্যিক মিগুয়েল দ্য সারভান্তেজ এর মৃত্যু তারিখ উপলক্ষ্যে। ১৯৯৫ সাল থেকে ইউনেস্কো এই তারিখটিকে আন্তর্জাতিক মর্যাদা দেয় শেক্সপীয়ারের মৃত্যুদিন স্মরণ করে। সে যাই হোক –বিশ্বের বইপ্রেমীরা এইদিনে আরো বেশি বেশি বই পড়ার অঙ্গীকার করুক, আমরা সেটাই প্রার্থনা করি।
বই এর কথা উঠলেই অবধারিত ভাবে বই পড়ার মাধ্যমের কথা মনে চলে আসে। প্রযুক্তির উন্নতি হওয়ার সাথে সাথে মানুষের মনে ডিজিটাল বই পড়ার একটা আকাঙ্খা জেগে ওঠে এবং ফলশ্রুতিস্বরূপ ই-বুকের আত্মপ্রকাশ – বলতে গেলে তারও প্রায় অর্ধশতাব্দীর বেশি অতিক্রান্ত হয়ে গেল। কিন্তু ই-বুকের ওপর থেকে জড়তা এক-শ্রেনীর মানুষ আর কাটিয়ে উঠতে পারছেন কই? পাইরেসির একটা বিষম ফাঁস যেন আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রয়েছে প্রতিটি ই-বুক প্রকাশের সাথে। এটা সত্যি, যে ডি আর এম বা ডিজিটাল রাইটস ম্যানেজমেন্ট এখনও নিখুঁত হয়ে উঠতে পারেনি, কিন্তু তা সত্ত্বেও ই-বুক আমেরিকার প্রায় ৮৫% বাজার দখল করে রেখেছে নির্দ্বিধায়। নতুন নতুন যন্ত্র আবিষ্কার হচ্ছে, অ্যাপ বেরোচ্ছে ই-বুক পড়ার জন্য, আমাজন, গুগল তার দরজা উন্মুক্ত করে দিয়েছে নতুন নতুন ই-বুকের জন্য। একটা প্রিন্ট বই এর চেয়ে প্রায় তিনগুন কম কাঁচামাল ব্যবহার করে এবং প্রায় ৭৮ গুন কম জল খরচে একটা ই-বুক তৈরী হয়। পরিবেশ বান্ধব তো বটেই, তাছাড়া বহনযোগ্য, তুলনামূলকভাবে কমদামী, পোকায় কেটে ফেলার জ্বালা নেই – ইত্যাদি হাজারও প্লাস পয়েন্ট আছে এই ই-বুকের।
বহু নামী বিদেশি লেখক তাঁদের বইকে ই-বুক ভার্সানে বের করেছেন। ২০১০ সালের একটা গবেষনা বলছে (হিলটন এন্ড উইকি, ২০১০) ফ্রি ই-বুক বহু ক্ষেত্রে প্রিন্টেড বই-এর কাটতি বাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিবছর ই-বুকের বাজার বৃদ্ধি পাচ্ছে অসম্ভব দ্রুতগতিতে, প্রযুক্তির সাথে তাল রেখে। আর তাই, এই প্রভাব থেকে মুক্ত থাকা বা বিচ্ছিন্ন থাকা আত্মহত্যারই নামান্তর।
বাংলার কিছু প্রকাশক যদিও এখন ই-বুকের কপিরাইট সমস্যা নিয়ে গলা ফাটিয়ে চলেছেন, কিন্তু তাঁদের আওয়াজও ক্ষীণ হয়ে আসছে ক্রমশ। গুগল প্লে বুকে বেশ কিছু বাংলা ই-বুক দৃশ্যমান হচ্ছে এবং বলতে শ্লাঘা হয়, তাদের মধ্যে নিয়মিতভাবে জায়গা করে নিয়েছে “কল্পবিশ্ব”।
আজকের বই-দিবসে, আমরা গর্ব করতে পারি এই বলে, যখন বাংলার প্রকাশকেরা ই-বুকের ভালো-মন্দ নিয়ে তর্ক করে ত্রিশঙ্কু অবস্থায় ছিলেন, তখন দু-একটি সাহসী প্রকাশনা সংস্থার পাশাপাশি কল্পবিশ্ব নিজে এগিয়ে এসেছিল, তাদের নিজেদের সংখ্যাগুলিকে গুগল প্লে-বুক এবং কিন্ডল ভার্সানে বের করতে। এবং নিশ্চিতভাবে সফল হয়েছিল। আমাদের অঙ্গীকার, আগামী দিনে আপনারা “কল্পবিশ্ব” এর থেকে আরও অনেক অনেক নতুন চমক পাবেন, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে পাঠককে কল্পলোকের জগতে নিয়ে যাওয়ার যে প্রতিজ্ঞা আমরা করেছি, তার ব্যতয় হবে না।
শুভ বই দিবস – আসুন পড়ুন “কল্পবিশ্ব” – কারণ আপনার কল্পনাই, আগামীর বিশ্ব।
কল্পবিশ্ব ই-পাব ওয়েবস্টোর-
কল্পবিশ্ব মোবি ওয়েবস্টোর-