প্রকাশক - বৃন্দাবন ধর এন্ড সন্স প্রাইভেট লিমিটেড
ছোটোদের মনের খোরাক জোগায় শিশুসাথী। শুধু গল্প, কবিতাই নয়, ইতিহাস, বিজ্ঞান, ভ্রমণ কাহিনী, ম্যাজিক, ব্যায়াম, বুদ্ধির খেলা, ছবিতে গল্প, খেলাধূলা, তোমাদের পাতা, এ সবই থাকে শিশুসাথীর পাতায়। শ্রেষ্ঠ লেখক আর শিল্পী তাঁদের লেখায় আর রেখায় সাজিয়ে দেন শিশুসাথীকে। আগামী দিনের নাগরিককে ঠিক ভাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে শিশুসাথী। অভিভাবক আর শিক্ষাবিদরাও ছোটোদের শিশুসাথী পছন্দ করেন।
সেই সময় এখনকার মতো শারদীয়া সংখ্যা প্রকাশ হতো না। প্রকাশ হতো বার্ষিকী সংখ্যা - যা আজকের শারদীয়া সংখ্যার মতোই আকর্ষনীয় হতো। আজও এর মহিমা অম্লান।
একসময় মাসিক পত্রিকা হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল "শিশুসাথী"। পত্রিকাটির প্রথম প্রকাশ ১৯২২ সালে (সম্পাদক: আশুতোষ ধর)। এরপর পরবর্তী ৫০ বছর সেটি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়ে এসেছে। প্রতি বছর শারদোৎসবের আগে প্রকাশিত হতো তাদের বার্ষিক সংখ্যা। হার্ডবোর্ড বাঁধাই, পাতায় পাতায় ছবিতে ভর্তি, আগাগোড়া নীল কালিতে ছাপা - অতি আকর্ষণীয় ছিল এই বার্ষিক "শিশুসাথী"।
এই পত্রিকার মাসিক সংখ্যাতেই প্রথম আত্মপ্রকাশ আশাপূর্ণা দেবীর। ১৩২৯ বঙ্গাব্দে (ইংরাজি ১৯২২ সাল) প্রকাশিত হয় তাঁর লেখা প্রথম ছোট গল্প 'পাশাপাশি'। এই পত্রিকাটিতেই ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের টেনিদা কাহিনী 'চারমূর্তি', অখিল নিয়োগীর 'বেপরোয়া', নীহারঞ্জন গুপ্তর 'শঙ্কর', যোগেন্দ্রনাথ গুপ্তর 'বাংলার ডাকাত', খগেন্দ্রনাথ মিত্রের 'ভোম্বল সর্দার', 'আফ্রিকার জঙ্গলে', 'বাগদী ডাকাত' প্রভৃতি শিশু-কিশোর সাহিত্যের অমর অক্ষয় লেখাগুলি। প্রথম দিকের লেখক তালিকায় ছিলেন দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার, শিবরতন মিত্র'র মতো বহু বিশিষ্ট লেখক।
পত্রিকাটিকে সুন্দর চিত্রে ও অলংকরণে সাজিয়ে তুলেছিলেন সেই সময়ের বিখ্যাত শিল্পী ফণী গুপ্ত ও পূর্ণচন্দ্র চক্রবর্তী।
বাংলার প্রকাশনা জগতে প্রথম পূজাবার্ষিকী সংস্করণ এই পত্রিকাই প্রকাশ করে "বার্ষিক শিশুসাথী" নামে ১৯২৬ সালে ডা: রমেশচন্দ্র মজুমদারের সম্পাদনায়। "বার্ষিক শিশুসাথী" '৮০র দশকের গোড়ার দিক পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন জনের সম্পাদনায়।
শুধু কলকাতায় নয়, কলকাতার বাইরেও বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের ঘরে ঘরে, বিদ্যালয়ে ও পাঠশালায় শিশু ও কিশোরদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল "শিশুসাথী"।
কৃতজ্ঞতা - অভিজিত ব্যানার্জী
Link kaj kore na vaia
ReplyDeleteলিঙ্ক ঠিক ক্করে দেওয়া হলো।
ReplyDelete