প্রকাশ কাল - ১৯৭৭ - ১৯৯৩
প্রকাশক - সোহিনী প্রকাশনী
'চিলড্রেনস ডিটেকটিভ' – অধুনালুপ্ত একদা জনপ্রিয় একটি রহস্য-রোমাঞ্চ ও গোয়েন্দা কাহিনীর মাসিক পত্রিকা ।
কেবলমাত্র কিশোর পাঠক-পাঠিকাদের জন্য রহস্য-রোমাঞ্চ ও গোয়েন্দা গল্পের আকর্ষণীয় সম্ভার নিয়ে '৭০ দশকের শেষ পর্বে বাংলা পত্র-পত্রিকার স্বর্ণালী যুগে আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল 'চিলড্রেনস ডিটেকটিভ' নামক মাসিক পত্রিকাটির। পত্রিকাটির প্রথম প্রকাশের সময় সম্পর্কিত সঠিক তথ্য নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তি আছে। 'সোহিনী প্রকাশনী' থেকে শ্রীযুক্ত মহীন্দ্র বসুর সম্পাদনায় পত্রিকাটি প্রকাশিত হতো। প্রথম সংখ্যাটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ হয়েছিল কথাসাহিত্যিক জরাসন্ধের হাত দিয়ে। মহীন্দ্র বসু সম্ভবত সোহিনী প্রকাশনীর কর্ণধার ছিলেন। তাঁর সঙ্গে সাহিত্যিক মহলে অনেকেরই সুসম্পর্ক ছিল। আর সেই কারণেই পত্রিকাটিতে বিভিন্ন সময়ে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, আশাপূর্ণা দেবী, বিমল মিত্র, জরাসন্ধ, নীহারঞ্জন গুপ্ত, গজেন্দ্রকুমার মিত্র, নারায়ণ সান্যাল, বিমল কর, সমরেশ বসু, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ, অনীশ দেব, বরেন গঙ্গোপাধ্যায়, স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, মহাশ্বেতা দেবী, হিমানীশ গোস্বামী, সমরজিত কর, অদ্রীশ বর্ধন, মঞ্জিল সেন, বীরু চট্টোপাধ্যায়ের মতো তৎকালীন প্রখ্যাত লেখকদের গল্প প্রকাশিত হতো। এছাড়াও ছিল বিশ্ব সাহিত্যের বিখ্যাত লেখকদের কিশোর অ্যাডভেঞ্চার গল্পের বাংলা অনুবাদ এবং দিলীপ দাসের কমিকস।
প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই পত্রিকাটির জনপ্রিয়তা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকে। ১৯৮০ সালে সত্যজিত রায়ের সৃষ্ট 'ফেলুদা' চরিত্রের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এই পত্রিকার একটি বিশেষ সংখ্যা প্রকাশিত হয়, যেটি পাঠকমহলে রীতিমত সাড়া ফেলে দিয়েছিল। প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই সংখ্যাটি নিঃশেষিত হয়ে যায় এবং পাঠকদের দাবীপূরণে সেটিকে পুনরায় ছাপতে হয়।
এই পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত আরেকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ছিলেন শ্রীযুক্ত অমিতাভ সেন। কেবলমাত্র তাঁর লেখা গল্প ও ধারাবাহিক লেখাই পত্রিকাতে প্রকাশিত হতো না, তিনি মাঝেমধ্যেই পত্রিকাটির প্রচ্ছদ চিত্রও অঙ্কন করতেন। তাঁর তৈরী করা কমিকসও প্রকাশিত হতো এই পত্রিকাতে। এই অমিতাভ সেন ১৯৮১-৮৩ সময়কালে পত্রিকাটির সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এরপরে পুনরায় মহীন্দ্র বসু পত্রিকাটির সম্পাদক হন।
কিন্তু এরপরেই ঘনিয়ে আসে পত্রিকাটির দুঃসময়। মূলত অর্থের অভাবেই ১৯৮৫ সালে পত্রিকাটির প্রকাশ বন্ধ হয়ে যায়। তারপর পরবর্তী কালে আবার ১৯৯২ সালে সত্যজিত রায়ের মৃত্যুর পরে মহীন্দ্র বসুর সম্পাদনাতে 'সত্যজিত স্মরণ সংখ্যা'র মাধ্যমে পত্রিকাটিকে নতুনভাবে প্রকাশ করা হয়। এই সংখ্যাটির পরবর্তী সময়কালকে পত্রিকাটির 'নব পর্যায়' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। দীর্ঘ কয়েক বছর পাঠকদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা সত্ত্বেও পত্রিকাটি আবার পূর্বের মতোই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। কিন্তু তৎসত্ত্বেও এবারেও ভাগ্যদেবী তাদের সহায়ক হলো না। প্রথমে নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হলেও তারপরে পত্রিকাটির প্রকাশ অনিয়মিত হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত ১৯৯৩ বা ১৯৯৪ সালে পত্রিকাটি চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়।
পত্রিকাটির আদি পর্যায়ে (অর্থাৎ ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত) তাদের অফিসের কোনও স্থায়ী ঠিকানা ছিল না। কিন্তু পত্রিকাটির নব পর্যায়ে তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন কলেজ স্ট্রিটের 'ভারতী বুক স্টল'-এর কর্ণধার অশোক বারিক। এই সময়ে পত্রিকাটির অফিসের স্থায়ী ঠিকানা ছিল '৬ বি রমানাথ মজুমদার স্ট্রিট, কলকাতা-৯'।
কৃতজ্ঞতা - অভিজিৎ ব্যানার্জী
প্রকাশকাল | সূচিপত্র লিঙ্ক | ডাউনলোড লিঙ্ক |
---|---|---|
১৯৭৭ | , | |
১৯৭৮ | ||
১৯৭৯ | ||
১৯৮০ | , এপ্রিল, জুলাই-আগষ্ট, , শারদীয়া, নভে-ডিসেম্বর, | |
১৯৮১ | সূচীপত্র | , জুন, নভেম্বর, ডিসেম্বর. |
১৯৮২ | , ফেব্রুয়ারী, মার্চ, এপ্রিল, মে, জুন, জুলাই, আগষ্ট-সেপ্টেম্বর, ডিসেম্বর, | |
১৯৮৩ | সূচীপত্র | জানু-ফেব্রুয়ারী, মার্চ-এপ্রিল, জুন, জুলাই, |
১৯৮৪ | সূচীপত্র | জানুয়ারী, |
১৯৮৫ | ||
১৯৮৬ | ||
১৯৮৭ | ||
১৯৮৮ | ||
১৯৮৯ | ||
১৯৯০ | , শারদীয়া | |
১৯৯১ | ||
১৯৯২ | , জুন, , শারদীয়া | |
১৯৯৩ | এপ্রিল, | |
১৯৯৪ | ||
১৯৯৫ | ||
১৯৯৬ | ||
১৯৯৭ | ||
১৯৯৮ | ||
১৯৯৯ | ||
২০০০ | ||
২০০১ | ||
২০০২ | ||
২০০৩ | ||
২০০৪ | ||
২৫থেকে ৩৮ বছরের সেরা | সূচীপত্র |
একটা লিঙ্কও খলা গেল না।
ReplyDeleteআবার দেখুন। ঠিক করে দিয়েছি।
Delete25 bochorer sera er suchi te je satyajit srodhhyay lekha gulo.. ogulo uppload korun please
Delete1980 er April er feluda sonkhya ta upload korun please 😰
ReplyDelete