বিশেষ ঘোষণা

বিশেষ ঘোষণাঃ বেশ কিছু পত্রিকা সম্পূর্ণ না পাওয়া গেলেও আমরা পোষ্ট করেছি এই বলে যে, পরে মিসিং পেজ গুলো পাওয়া গেলে নতুন লিঙ্ক দেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট ম্যাগাজিনের পেজে গিয়ে সংখ্যাটির ওপর ক্লিক করলে নির্দিষ্ট সংখ্যাটি খুলে যাবে। আপাতত চিল্ড্রেন্স ডিটেকটিভের এপ্রিল, ১৯৮২, শুকতারার শ্রাবণ, ১৪০০,কিশোর মন মে ০১, ১৯৮৪, আনন্দমেলা ১৯৭৯ জুন, আনন্দমেলা ১৯৮০ ১৬ জানুয়ারী এবং আনন্দমেলা ১৯৮৭- এপ্রিল ১৫ সংখ্যা ঠিক করা হল। ,

বিজ্ঞপ্তি -

বিজ্ঞপ্তি : কিছুদিন যাবৎ গুগলের ইন্ডিয়ার সারভার কাজ করছে না। তাঁর ফলে যত সাইটের এর শেষে বা সাইটের পেজের শেষে ".in" আছে, সেগুলো কাজ করছে না। একইভাবে ধূলোখেলার লিঙ্ক গুলোতে বেশির ভাগ জান্যগায় ".in" ছিল। যা বর্তমানে কাজ করছে না। ধীরে ধীরে এই লিঙ্ক গুলো শুধরানোর কাজ চলছে। যদিও এটা সময় সাপেক্ষ কাজ। ইতিমধ্যে আপনারা সাময়িক সমাধান হিসেবে ওয়েব অ্যাড্রেস বারে ".in" এর জায়গায় ".com" করে নেবেন। তাহলেই ওই সাইটটি খুলে যাবে।

আবেদন

আবেদন ঃ হঠাৎই দেখা যাচ্ছে বেশ কিছু পুরোনো পোস্ট করা সাধারন সংখ্যার লিঙ্ক গুগুল সিকিউরিটির কারণে প্রাইভেটের মত হয়ে গেছে। যারা আগে খুলেছিলেন, তারা এখনো খুলতে পারছেন। কিন্তু যারা প্রথম, তাদের রিকোয়েস্ট পাঠাতে হচ্ছে। আপনাদের কাছে আবেদন, সাধারন সংখ্যা ডাউনলোড করতে এমন সমস্যা হলে ধৈর্য্য রেখে রিকোয়েস্ট পাঠান, ও কিছুদিন পর আবার চেষ্টা করুন। আমরা লিঙ্ক গুলো আপডেট করার চেষ্টা করছি।

খেলার কাগজ

  খেলার কাগজ

 

সম্পাদক - অশোক দাশগুপ্ত, সরোজ চক্রবর্তী

প্রকাশ কাল - ১৯৮০, এপ্রিল - 
প্রকাশক - 


কেবলমাত্র বাংলা ক্রীড়া প্রকাশণা জগতেই নয় বাংলা পত্রিকার জগতে 'খেলার কাগজ' পত্রিকাটি একসময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান অধিকার করেছিল। সেই সময়ের কলকাতা ময়দানের উত্তেজনা, রাজনীতি ও বিভিন্ন খবরাখবর এই পত্রিকাটিতে অত্যন্ত আকর্ষণীয় ভাবে উপস্থাপন করা হতো। পত্রিকাটির পাতায় পাতায় খেলোয়াড়দের লেখা, তাদের সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্যাদি নিয়মিতভাবে তুলে ধরায় খেলোয়াড়রা অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের কাছের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন। পত্রিকাটির সাফল্য এখানেই ছিল যে পাঠক-পাঠিকাদের সেই সময়কার ময়দানের খেলোয়াড়দের সাফল্য-ব্যর্থতা-আবেগ-অনুভূতির সরাসরি অংশীদার করতে সক্ষম হয়েছিল। তাই পত্রিকাটি এখনও অনেক ক্রীড়ানুরাগীর স্মৃতিকে উদ্বেলিত করে, ফিরিয়ে নিয়ে যায় কলকাতা ময়দানের সেই সোনালী দিনগুলোতে।


পত্রিকাটির ইতিহাস সম্পর্কে আমি কিছু তথ্য এখানে সংযোজন করলাম।
সেটা ১৯৭৯ সাল। 'খেলার কথা' তখন একটি জনপ্রিয় ও প্রতিষ্ঠিত ক্রীড়া পত্রিকা। 'দীপ্তি প্রিন্টিং প্রেস' থেকে প্রকাশিত পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলেন জর্জ টেলিগ্রাফ ক্লাব তথা সেই সময়ের কলকাতা ময়দানের নামী কর্মকর্তা প্রদ্যুৎ দত্ত, সহকারী সম্পাদক অশোক দাশগুপ্ত। ১৯৭৯'র শেষ দিক থেকেই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাঙালী ও পাঞ্জাবী ফুটবলারদের বিভাজনকে কেন্দ্র করে। ক্লাবের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট নিশীথ ঘোষ ও তার সহযোগী কর্মকর্তাদের মধ্যে অনেকেই সুরজিত সেনগুপ্তসহ বেশ কিছু বাঙালি ফুটবলারের প্রতি বিশেষ 'প্রসন্ন' ছিলেন না। ফলে তাদের একটা প্রচ্ছন্ন মদত ছিল পাঞ্জাবীদের দিকে।
'খেলার কথা' ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের এই উত্তপ্ত আবহে নিশীথ ঘোষ ও তার গোষ্ঠীর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিতভাবে আক্রমণাত্মক লেখা প্রকাশ করে সমর্থকদের মধ্যে বাঙালি ফুটবলারদের সমর্থনে জনমত তৈরি করার চেষ্টা করতে থাকে। পত্রিকাটির জনপ্রিয়তা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর কাছে 'খেলার কথা'র ভূমিকা রীতিমতো অস্বস্তির কারণ হয়ে ওঠে। এই সময়ে ভাষ্যকার শিবাজী দাশগুপ্ত মারফত ক্লাবের কর্মকর্তারা 'খেলার কথা'র সম্পাদকমন্ডলীর কাছে একটা সন্ধি প্রস্তাব পাঠান। কিন্তু তাতে খুব একটা লাভ হয় না।
'৮০-র ফেব্রুয়ারি মাসে সুরজিতসহ আটজন ফুটবলার ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। কর্মকর্তাদের টার্গেট হয়ে যান 'খেলার কথা'র সহ-সম্পাদক অশোক দাশগুপ্ত ও তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন সাংবাদিক। তাদের ধারণা হয় পূর্বতন ক্লাব প্রেসিডেন্ট ডঃ নৃপেন দাস ও তাঁর দুই একান্ত অনুগামী জীবন চক্রবর্তী ও পল্টু দাসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থাকায় অশোক দাশগুপ্ত ক্লাবে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।
পরবর্তী দু-এক মাসের মধ্যেই ইস্টবেঙ্গল ক্লাব এবং 'অশোক দাশগুপ্ত ও তার অনুগত সাংবাদিক'দের মধ্যে সংঘাত আরও তীব্র হয়ে ওঠে। এই পরিস্থিতিতে 'খেলার কথা' পত্রিকাটির মধ্যেও কিছু আভ্যন্তরীণ বিভাজন সম্ভবত সৃষ্টি হয়েছিল। দুইজন কর্মীকে তারা বরখাস্ত করে। অশোক দাশগুপ্ত এই ঘটনার প্রতিবাদে 'খেলার কথা' ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন।
এই সময়েই দীপ্তি প্রিন্টিং প্রেসের স্বত্বাধিকারী দেবীপ্রসন্ন চট্টোপাধ্যায় নতুন পত্রিকা প্রকাশ করার একটি ভাল প্রস্তাব নিয়ে আসেন অশোক দাশগুপ্তর কাছে। এই প্রথম নিজস্ব সম্পাদনায় অশোক দাশগুপ্ত প্রকাশ করলেন নতুন ক্রীড়া পত্রিকা 'খেলার কাগজ ', প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হল ১লা এপ্রিল ১৯৮০। 'খেলার কথা' পত্রিকা থেকে অশোকবাবুর সঙ্গে নতুন পত্রিকায় যোগ দিলেন সরোজ চক্রবর্তী ও রতন ভট্টাচার্য (লেখক নন, ইনি ছিলেন ক্রীড়া সাংবাদিক)। এছাড়াও পরে যোগ দিলেন মনীশ মৌলিক, শিবাজী দাশগুপ্ত (প্রখ্যাত ধারাভাষ্যকার) ও প্রদীপ নাগ (রেফারী)। প্রখ্যাত কোচ অমল দত্ত'র লেখাও নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হতে শুরু করে এই পত্রিকায়।
এরমধ্যেই 'খেলার কথা' কর্তৃপক্ষ আনন্দবাজার পত্রিকার খেলার পাতায় বিজ্ঞাপন দিয়ে জানালেন যে 'অতঃপর তাদের পত্রিকার চরিত্রের আমূল পরিবর্তন ঘটানো হবে'। ঐ একই দিনে আনন্দবাজারে ঐ পাতার অন্যদিকে বেরিয়েছিল 'খেলার কাগজ' পত্রিকার বিজ্ঞাপন।
বাংলা ক্রীড়াপত্রিকার জগতে একইসঙ্গে প্রকাশিত হতে শুরু হল তিনটি ক্রীড়া পত্রিকা 'খেলার আসর' (সম্পাদক : অতুল মুখার্জী), 'খেলার কথা' (সম্পাদক : প্রদ্যুৎ দত্ত) ও 'খেলার কাগজ'।


'খেলার কাগজ' পত্রিকাতেই ক্রীড়া সাংবাদিকতার জীবন শুরু করেছিলেন স্বনামধন্য ক্রীড়া সাংবাদিক ধীমান দত্ত, অলোক চট্টোপাধ্যায় (প্রখ্যাত চলচ্চিত্রাভিনেতা অনিল চট্টোপাধ্যায়ের পুত্র), অশোক রায়, জ্যোতিপ্রকাশ মিত্র, নির্মল কুমার সাহা ও দেবাশিস দত্ত। এই পত্রিকাতেই ফটোগ্রাফার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন এস এস কাঞ্জিলাল ও জহর রায়।
দুটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ধারাবাহিক ফিচার প্রকাশিত হতো এই পত্রিকায়, যার একটি লিখতেন অশোক দাশগুপ্ত 'বাবুরাম সাঁপুড়ে' ছদ্মনামে এবং অন্যটি সুপ্রিয় সেন 'ল্যান্সনায়েক বিভূতি পাল' ছদ্মনামে (এই ফিচারটিতে আকাশবাণী ও কলকাতা দূরদর্শণে নিম্নমানের খেলার অনুষ্ঠান ও ধারাভাষ্য সম্প্রচারের বিরুদ্ধে ব্যঙ্গাত্মক লেখা প্রকাশিত হতো)।
পরবর্তীকালে অশোক দাশগুপ্ত 'আজকাল' সংবাদপত্রে ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে যোগ দিলে তার সঙ্গে 'খেলার কাগজ'এর প্রায় পুরো টীমটাই ঐ সংবাদপত্রের সঙ্গে যুক্ত হয়। 'খেলার কাগজ' তখনও পৃথকভাবে প্রকাশিত হতো, সম্পাদক হলেন সরোজ চক্রবর্তী। এরপর 'আজকাল প্রকাশণ' থেকে খেলার পত্রিকা প্রকাশের প্রস্তাব রাখা হলে 'খেলার কাগজ' পত্রিকাটিকে বন্ধ করে দিয়ে অশোক দাশগুপ্তর সম্পাদনায় 'খেলা' পত্রিকাটি প্রকাশিত হওয়া শুরু হয়।

কৃতজ্ঞতা - অভিজিৎ ব্যানার্জী।

প্রকাশকালসূচিপত্র লিঙ্কডাউনলোড লিঙ্ক
১৯৮০
এপ্রিল ১
১৯৮১

১৯৮২

১৯৮৩

১৯৮৪

১৯৮৫

১৯৮৬

১৯৮৭

১৯৮৮

No comments:

Post a Comment

Please encourage if you like our posts.