(ছোটোদের মাসিক পত্রিকা)
সম্পাদক - উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরী, সুকুমার রায়, সুবিনয় রায়, সত্যজিৎ রায়, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, লীলা মজুমদার, নলিনী দাশ, বিজয়া রায়, সুজয় সোম, সন্দীপ রায়
প্রকাশ কাল - সূচনা - ১৯১৩ - ১৯৩৪
১৯৬১ (নব পর্যায়) - চলছে
১৯৬১ (নব পর্যায়) - চলছে
প্রকাশক - সুকুমার সাহিত্য সমবায় সমিতি
সন্দেশ হল কিশোরদের জন্য কলকাতা থেকে বাংলায় প্রকাশিত একটি মাসিক পত্রিকা। ১৯১৩ সালে এই পত্রিকাটির জন্ম দেন উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, তাঁর মেসার্স ইউ. রায় অ্যান্ড সন্স (M/s U. Roy & Sons) কোম্পানী প্রকাশনের মাধ্যমে। ১৯১৫ সালে উপেন্দ্রকিশোর মারা যাবার পর এর সম্পাদনার ভার নেন তাঁর পুত্র সুকুমার রায়। সুকুমার রায়ের সম্পাদনার সময়েই সন্দেশ একটি অনন্য পত্রিকা হয়ে ওঠে যাতে সাহিত্য রসের সঙ্গে হাস্য ও কৌতুক রস, এবং বিজ্ঞান ও জগৎ সম্বন্ধে তথ্যাদির সমাবেশ ঘটে। তবে সুকুমার পত্রিকাটিতে শিশুদের উদ্যেশ্যেই বেশি লিখতেন।
১৯২৩ সালে সুকুমারের অকালমৃত্যুর পর তাঁর ভাই সুবিনয় সন্দেশের সম্পাদনা দেখাশোনা শুরু করেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও ১৯২৬ সালে পত্রিকাটি সময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে নতুন মালিকানার অধীনে পত্রিকা পুনিরায় প্রকাশিত হয় এবং এবারে সুবিনয়ও একজন সম্পাদক হিসাবে থেকে যান। কিন্তু ১৯৩৩-৩৪ সালে ইউ. রায় অ্যান্ড সন্স কোম্পানী উঠে গেলে পত্রিকাটি আবার বহুদিনের (প্রায় তিন দশকের) জন্য বন্ধ হয়ে য়ায়।
১৯৬১ সালে সত্যজিৎ রায় ও কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় সন্দেশ পত্রিকা আবার নতুন করে প্রকাশিত হয়। সত্যজিৎ রায়ের অনেক রচনাই এখানে প্রথম প্রকাশিত হয়। ১৯৬৩ সালে কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের বদলে সত্যজিতের পিসি স্বনামধন্যা লেখিকা লীলা মজুমদার সত্যজিতের সঙ্গে সন্দেশের সাম্মানিক সহসম্পাদকত্ব অধিগ্রহণ করেন। ১৯৬৩ সালেই সত্যজিৎ রায় "সুকুমার সাহিত্য সমবায় সমিতি" নামে একটি অলাভজনক সাহিত্য সমবায়-সমিতি (কো-অপারেটিভ) গঠন করেন যা এখনো অবধি সন্দেশ চালিয়ে যাচ্ছে। ১৯৭৪ সাল থেকে সত্যজিতের মাসতুতো বোন নলিনী দাস এর আরেকজন সহ-সম্পাদক হন, এবং বস্তুতপক্ষে হন এর কার্যনির্বাহী (এক্সিকিউটিভ) সম্পাদক, এবং তাঁর স্বামী অশোকানন্দ দাস হন এর সাম্মানিক প্রকাশক। সত্যজিৎও এঁদের সঙ্গেই কাজ করতে থাকেন। তিনি তাঁর অনেক মূল রচনা ছাড়াও সন্দেশে অনেক জ্ঞান বিজ্ঞানের কথা লিখতেন। যেমন কিছুদিন তিনি প্রতিটি সংখ্যায় একটি করে স্বল্প পরিচিত প্রাণীর ছবি ও তার সম্বন্ধে নানা মজার তথ্য লিখতেন। চিত্রবিচিত্র ধাঁধা, কমিক স্ট্রিপ, লিমেরিক, ছোট গল্প, ধারাবাহিক উপন্যাস, ভ্রমণ কাহিনী ইত্যাদির সুসমন্বয়ে পত্রিকাটি সেই সময় অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এর একটি অংশে ১৬ বছরের থেকে ছোটদের নিজেদের লেখা ও আঁকা ছাপা হত, যার নাম ছিল হাত পাকাবার আসর। তার মানও ছিল যথেষ্ট উন্নত। সুকুমার রায়ের সন্দেশ ছিল শিশু ও কিশোরদের মনোরঞ্জনের জন্য, এই সম্পাদকমণ্ডলী এটিকে তরুণদের কাছেও আকর্ষণীয় করে তোলেন।
১৯৯২-৯৩ সালে পত্রিকাটি আবার দুর্গতির সম্মুখীন হয় কারণ মাত্র ১৪ মাসের মধ্যে সত্যজিৎ রায়, নলিনী দাস ও অশোকানন্দ দাস পরলোক গমন করেন। ১৯৯৪ সালে লীলা মজুমদারও এত অসুস্থ হয়ে পড়েন যে তাঁর পক্ষেও এর কার্য নির্বহন চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ে।
১৯৯৩-৯৪ থেকে সত্যজিতের পুত্র সন্দীপ রায় এর সহ-সম্পাদক হন এবং, নলিনী দাসের পুত্র অমিতানন্দ দাস এর প্রকাশনা গ্রহণ করেন। কিন্তু এই অনভিজ্ঞ জুটির পক্ষে দ্রুত পরিবর্তনশীল সময়ের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ছিল - কারণ কমিক্স, দূরদর্শন, কেবল টিভি, এবং রংবেরঙের ছবিওয়ালা পত্রিকাগুলির সঙ্গে প্রতিযোগীতায় শিশু ও কিশোর পত্রিকাগুলি পিছিয়ে পড়তে থাকে। সন্দেশ ছিল একটি সাদা কালো পত্রিকা এবং তখন ধুঁকতে ধুঁকতে লড়ে চলেছে, লোকসান হচ্ছে, মাঝে মাঝে দু-একটা সংখ্যা বাদ পড়ছে।
২০০৩ সালে ফোর্ড ফাউন্ডেশন সন্দেশকে পুনর্জীবিত করার উদ্দশ্যে কিছু অর্থসাহায্য দেয়। কিন্তু তখন অনেক রঙীন পাতা ও দৃষ্টিনন্দন চেহারা সত্ত্বেও সমবায় সমিতির মতানৈক্যের কারণে সন্দেশ আর্থিক ভাবে অচল হয়ে পড়ে। ২০০৫-এর জুলাই থেকে ২০০৬-এর এপ্রিলের মধ্যে এর বেশ কয়েকটি সংখ্যা প্রকাশ হতে পারেনি।
২০০৬এর অগষ্ট মাস থেকে আবার নতুন উদ্যমে সাহিত্যের উন্নতমান ও সুসংহত পরিচালনার মাধ্যমে পত্রিকাটিকে পুনরায় জনপ্রিয় করার চেষ্টা চলছে। চারটি অপ্রশিত সংখ্যার পর শারদীয়া সন্দেশ আবার বার হয়েছে। পত্রিকাটি যাতে আবার ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়ে, এবং এর মান বজায় থাকে ও পাঠকমণ্ডলী বৃদ্ধি পায় তার জন্য পরিকল্পনা তৈরি হয়েছে।
(কৃতজ্ঞতা ঃ বাংলা উইকিপিডিয়া)
Sandesh er ekti bishesh Kolpobigyan sonkhya beriyechilo bodh hoy 2012-15 ei somoy er kono ekti bochor, thik mone nei, Satyajit ray er Abotar lekhati cholchilo tokhon. Ache karur kache sei sonkhya ti?
ReplyDelete1969,1970,1974,1975,1977 April,1978,1987,1988,1989,1991,1995,1996,1998,2002,2003,2004,2005,2008,2010,2011,2012,2013,2014 egulor pdf download kora jachena please help korben.osadhron proyas eti .ami egulo porte chai please help me
ReplyDelete2020 Pujosankhya chai.
ReplyDelete2015 theke 2019 porjonto pujosankhay pele bhalo hoi.
ReplyDeleteএত নতুন বই আমরা দেই না।
DeleteSATYAJIT RAY-r Janmosatobarshiki suru hoyeche. Gato Pujabarshiki sankhyae tar kichu lekha ba aka nischoy kichu chilo, jenechi bolei khoj korchi. Pele bhalo hoy. R 2015 - 2019 er collection gulo kabe asbe ei blog-ey ?? SANDESH patrikatir ekta oitihasik gurutto ache. Jakhan ei patrikar sathe Banglar sahityjagater namkara dikpal lekhak lekhikara joriye chilen sristir adikal theke. Sutorang pathoker abeger jayegata bujhe patrikatir baki bachorgulor mudrito sankhya debar chesta karun .
DeleteAsha kori gurutto deben. Apnader blogger subhokamona kari.
ki holo apnader Sandesher stock sesh ?
ReplyDeleteSANDESH-er poush 1401-er ager o parer sankhya gulo din jate SONAR KELLAR puro chitronatya para jabe.
ReplyDeleteErakam ordhek pathe maja koi ?
R Satyajit Rayer nijer hate chitrankito Sandesher kono galper puro sankhya thakle seta din.
SONAR KELLA lagbe na, peye gechi.
ReplyDeleteBhalo purono Sandesh nei R ?
Satyajit Rayer nijer hate chitrankito Sandesher kono galper puro sankhya thakle seta din.
ReplyDelete1427 sandesh pujabarshiki ta paoa gele bhalo hoto
ReplyDelete