বিশেষ ঘোষণা

বিশেষ ঘোষণাঃ বেশ কিছু পত্রিকা সম্পূর্ণ না পাওয়া গেলেও আমরা পোষ্ট করেছি এই বলে যে, পরে মিসিং পেজ গুলো পাওয়া গেলে নতুন লিঙ্ক দেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট ম্যাগাজিনের পেজে গিয়ে সংখ্যাটির ওপর ক্লিক করলে নির্দিষ্ট সংখ্যাটি খুলে যাবে। আপাতত চিল্ড্রেন্স ডিটেকটিভের এপ্রিল, ১৯৮২, শুকতারার শ্রাবণ, ১৪০০,কিশোর মন মে ০১, ১৯৮৪, আনন্দমেলা ১৯৭৯ জুন, আনন্দমেলা ১৯৮০ ১৬ জানুয়ারী এবং আনন্দমেলা ১৯৮৭- এপ্রিল ১৫ সংখ্যা ঠিক করা হল। ,

বিজ্ঞপ্তি -

বিজ্ঞপ্তি : কিছুদিন যাবৎ গুগলের ইন্ডিয়ার সারভার কাজ করছে না। তাঁর ফলে যত সাইটের এর শেষে বা সাইটের পেজের শেষে ".in" আছে, সেগুলো কাজ করছে না। একইভাবে ধূলোখেলার লিঙ্ক গুলোতে বেশির ভাগ জান্যগায় ".in" ছিল। যা বর্তমানে কাজ করছে না। ধীরে ধীরে এই লিঙ্ক গুলো শুধরানোর কাজ চলছে। যদিও এটা সময় সাপেক্ষ কাজ। ইতিমধ্যে আপনারা সাময়িক সমাধান হিসেবে ওয়েব অ্যাড্রেস বারে ".in" এর জায়গায় ".com" করে নেবেন। তাহলেই ওই সাইটটি খুলে যাবে।

আবেদন

আবেদন ঃ হঠাৎই দেখা যাচ্ছে বেশ কিছু পুরোনো পোস্ট করা সাধারন সংখ্যার লিঙ্ক গুগুল সিকিউরিটির কারণে প্রাইভেটের মত হয়ে গেছে। যারা আগে খুলেছিলেন, তারা এখনো খুলতে পারছেন। কিন্তু যারা প্রথম, তাদের রিকোয়েস্ট পাঠাতে হচ্ছে। আপনাদের কাছে আবেদন, সাধারন সংখ্যা ডাউনলোড করতে এমন সমস্যা হলে ধৈর্য্য রেখে রিকোয়েস্ট পাঠান, ও কিছুদিন পর আবার চেষ্টা করুন। আমরা লিঙ্ক গুলো আপডেট করার চেষ্টা করছি।

Wednesday, October 21, 2020

Anandamela - 1983/1390 Sharodiya

এই কঠিন পরিস্থিতিতে সকলকে জানাই অগ্রীম শারদ শুভেচ্ছা। যতটা সম্ভব সাবধানে থেকে পূজোর দিনগুলি আনন্দে কাটান  আর ধুলোখেলার কর্মযজ্ঞে নিজেকে জড়িয়ে নিন ও ঘরে বসে পুরোনো শারদীয়া পড়ার আনন্দ নিন। 

কোথাও শেয়ার করতে চাইলে ব্লগের লিঙ্ক শেয়ার করবেন, অন্যথায় ব্যান করা হতে পারে।

এসে গেল আনন্দমেলা পত্রিকার ১৩৯০ শারদীয়া সংখ্যা


   এটি একটি বিশেষ সংখ্যা। তাই পূর্ব ঘোষণা মতো এটি সকলের জন্য ওপেন থাকবে না। নিতে হলে রিকোয়েস্ট পাঠাতে হবে। রিকোয়েস্ট করবার সময়, আপনি কি কাজ করেছেন, কি নামে আমাদের কাছে পরিচিত মেনশন করে দেবেন। যথাসময়ে আপনার মেইল-এ লিঙ্ক পৌছে যাবে।

কিছু কাজ না করে থাকলে এখনই একটা অন্তত দশ বছরের পুরোনো ম্যাগাজিন নিয়ে স্ক্যান করে (মোবাইলে নয়) পাঠান অথবা অন্যান্য কোনো একটি কাজ করুন।


আমাদের উদ্দেশ্য পুরনো হারিয়ে যাওয়া পত্রিকাগুলি সংরক্ষণ করা !


 Cover Page

 Sample Pages

পুস্তক পর্যালোচনা - প্রবীর ব্যানার্জী

প্রথমত, ধন্যবাদ জানানোর কোনো ভাষা নেই টিম ধুলোখেলাকে। আমাদের ছোটবেলার নস্টালজিয়াকে তাঁরা একের পর এক তুলে এনেছেন পরম যত্নে। এই বইটির ক্ষেত্রে যাঁদের অবদান স্মরণ করতেই হয় তাঁরা হলেনঃ
ব্রতীশ সরকার ও রাজর্ষী সরকার (হার্ডকপি দিয়েছেন), মাধব রায় (স্ক্যান করেছেন) ও সুজিত কুন্ডু (এডিট করেছেন)।
আমার ব্যক্তিগত মত হল, আনন্দমেলার স্বর্ণযুগের যে পূজাবার্ষিকীগুলি রয়েছে তার মধ্যে এটি অন্যতম। সেইসময়ের বাংলা সাহিত্যের দিকপাল লেখকরা তো আছেনই, চমৎকার সব শিল্পীদের অলঙ্করণে সমৃদ্ধ এই পূজাবার্ষিকী। পাঠকের ধৈর্যচ্যুতি না ঘটিয়ে অল্পকথায় লিখতে চেষ্টা করি।
প্রথমেই মন খুশি হয়ে ওঠে বিমল দাশের অসাধারণ প্রচ্ছদটি দেখলে। পাতায় পাতায় অলঙ্করণে মন ভরিয়েছেন সমীর মন্ডল, অনুপ রায়, সুনীল শীল, শেখর রায়, দেবাশিস দেব, সত্যজিৎ রায়, সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায়, জয়ন্ত ঘোষ, নির্মলেন্দু মন্ডল, অহিভূষণ মালিক প্রমুখ বাঘা বাঘা শিল্পীরা।

আশ্চজর্ন্তু - সত্যজিৎ রায়
সেইসময়ের আনন্দমেলা পূজাবার্ষিকীর একটা মুখ্য আকর্ষণ ছিল সত্যজিৎ রায়ের শঙ্কু কাহিনী। এই উপন্যাসটি অতীব জনপ্রিয়। পরে কমিকসও হয়েছে। প্রফেসর শঙ্কু একদিন পেলেন এক নাম না জানা আশ্চর্য জানোয়ার। তাকে দেখতে কিছুটা বাঁদরের মত হলেও সে বাঁদর নয়। প্রফেসর জন্তুটির নাম দিলেন ‘ইয়ে’। তার অদ্ভুত ক্ষমতার কথা ক্রমশ জানা যায়। জার্মানির প্রাণীবিদ্যা বিশারদ ফ্রিডরিশ একহার্টের আমন্ত্রণে শঙ্কু ইয়েকে নিয়ে রওনা দিলেন জার্মানি। তারপর? ভয়ঙ্কর বিপদ অপেক্ষা করে ছিল শঙ্কু ও ইয়ের জন্য। কীভাবে রক্ষা পেলেন তাঁরা? পড়ে ফেলুন বা আবার পড়ে ফেলুন রুদ্ধশ্বাস উপন্যাসটি। সঙ্গে রায়মশাইয়ের দুর্ধর্ষ ছবি।

স্বপ্নের রেলগাড়ি - আশাপূর্ণা দেবী
রোজ ভোরে ভয়াল একটা স্বপ্ন দেখছেন পিনাকী রায়। রেলগাড়ি ছুটতে ছুটতে পড়ল দুর্ঘটনায়। পিনাকী রায় যেন প্রকান্ড এক কবরখানায়। অগুন্তি কবর ওপর থেকে দুলছে সারি সারি পা। কেন এমন স্বপ্ন দেখেন তিনি? এ কোন অশুভ সংকেত?

সেই গাড়ির খোঁজে - সমরেশ বসু
খুদে গোয়েন্দা গোগোলের চোখের সামনেই ঘটে গেল এক ব্যাঙ্ক ডাকাতি। ডাকাতরা পালালো খয়েরি রঙের একটা গাড়িতে। দিনকয়েক পরে গোগোলের চোখে পড়ল সেই গাড়িটা। তারপর? স্বভাব-অনুসন্ধিৎসু গোগোল গাড়ির খোঁজে গিয়ে পড়ে গেল ভয়ংকর বিপদের মধ্যে।

নিজের ঢাক নিজে পেটালে - সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
বড়মামার খেয়াল হল নিজের জন্মদিন ঢাকঢোল বাজিয়ে পালন করবেন। নেমন্তন্ন করে খাওয়াবেন। তবে মানুষকে নয়। গরু-ছাগল-কুকুর-বিড়াল-পাখিকে। মেজমামা সমানতালে উৎসাহ দিলেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল পশুদের নেমন্তন্ন করে খাওয়ানোর বিস্তর ঝামেলা। অগত্যা পরিকল্পনা পরিমার্জন করতে হল। মানুষরাই আসবেন খেতে। ভালয়-ভালয় মিটলো তো সব?

খালি জাহাজের রহস্য - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
এটিও সুনীলের একটি বিখ্যাত উপন্যাস। সুন্দরবনের নদীতে ভাসতে ভাসতে বাঘমারা ফরেস্টে এসে ঠেকেছে একটা বিদেশি লঞ্চ। চমৎকার সাজানো-গোছানো, কিন্তু খালি। কাকাবাবু চললেন সন্তুকে নিয়ে লঞ্চের রহস্যভেদে। কেন তিনি এত কৌতুহলী হয়ে উঠলেন? কে ইঙ্গমার স্মেল্ট? সুন্দরবনের ডাকাত আর চোরাচালানকারীদের হাতেও পড়তে হল কাকাবাবুদের। শেষপর্যন্ত রহস্যভেদ হল খালি জাহাজের? বারবার পড়ার মত এই উপন্যাস।


ঋভুর শ্রাবণ - বুদ্ধদেব গুহ
অদ্ভুত মায়াময় আবেশ জড়ানো এক উপন্যাস, যা প্রকৃতিকে ভালবাসতে শেখায়, মানুষকে ভালবাসতে শেখায়। ঋভু, বুলবুলি, পন্ডিতমশায়, ঋভুর মা, জ্যাঠা প্রতিটি চরিত্রই জীবন্ত। হতদরিদ্র বুলবুলিপাগলি কিশোর ঋভুর চেয়ে সামান্যই বড়, কিন্তু জীবন সংগ্রামে লড়তে লড়তেও তার মুখের মিষ্টি হাসিটি অক্ষুণ্ণ। শ্রাবণের আকাশের ছায়া পড়ে পাঠকের মনেও।

ভূতুড়ে ঘড়ি - শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
দাদুর তিনশো বাইশটা ঘড়ি হারিয়ে যাওয়া বা চুরি যাওয়ার পর তিনশো তেইশ নম্বর ঘড়িটা দেখা গেল ভারী অদ্ভুত প্রকৃতির। তার ভেতর থেকে নাকি গানবাজনা শোনা যায়। কারা সব অদ্ভুত কথা বলে। রামরাহা র্যা।ডাকালি বুত বুত ইত্যাদি। জটাই তান্ত্রিক আর নিত্য দাস বৈষ্ণবের এইসব নিয়ে গন্ডগোল। ওদিকে বাতাসে আবার গর্ডন সাহেবের চুরুটের গন্ধ। কে অজ্ঞান করল জটাই তান্ত্রিককে? জ্ঞান আসার পর জটাই বললে, লুলু, রামরাহা, নানটাং, রিকি রিকি। লাটুর সঙ্গে দেখা হল রামরাহার? ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে পৃথিবী। লাটু পারবে বাঁচাতে?

দুঃসাহসী দুই বুড়ো - শৈলেন ঘোষ
মূলত বেশ ছোটদের জন্য হলেও, এই উপন্যাস সবারই ভাল লাগবে। দুই বুড়ো, লোতিসাবা আর জোরুতসি, দেশের অত্যাচারী রাজার নৃশংসতার শিকার। একদিন আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে রাজ্যটাই গেল ধ্বংস হয়ে। রাজাও পালালো। দুই বুড়োর সঙ্গে রাজার দেখা হয়ে গেল এক পোড়ো বাড়িতে। তারপর? দুই বুড়ো প্রতিশোধ নেবে? নাকি জীবনের আরো কিছু আনন্দ অপেক্ষা করে আছে তাদের জন্য?


এ ছাড়াও রয়েছে একুশটি দুর্দান্ত সব গল্প। নানাস্বাদের। প্রথিতযশা সাহিত্যিকদের। আমার বিশেষ করে ভাল লেগেছে বিমল কর, সমরেশ মজুমদার, মঞ্জিল সেন, সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়, তারাপদ রায়ের গল্প। বাকিগুলিও চমৎকার।
রয়েছে দারুণ একটি কমিকস ওয়াল্ট ডিজনির ‘অদৃশ্য প্রহরী’। রয়েছে অজস্র কবিতা ও ছড়া। খেলাধুলো ও অন্যান্য বিষয়।

আর দেরি কেন। পড়তে থাকুন আনন্দমেলা পূজাবার্ষিকী ১৩৯০।

Information
Date - 1390 Sharodiya
Pages - 310
PDF Size - 94.9 MB
Hard Copy - Rajarshi Sarkar 
Scan  - Madhab Roy
Edit - Sujit Kundu

Hyperlinked by : Snehamoy Biswas








Like Our Facebook Page 


38 comments:

  1. এই শারদীয়া সংখ্যাগুলো দেখলেই পড়তে ইচ্ছে করে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এইরকম একটি আনন্দমেলার পুরোনো শারদীয়া সংখ্যার আপলোড দেবার জন্য।

    ReplyDelete
  2. Darun post. Onek din dhore wait korchhilam. Dhanyabad.

    ReplyDelete
  3. পুরনো স্মৃতি ফিরে এলো।এই সংখ্যাটি সংগ্রহে ছিল,কালের কবলে আজ আর নেই। ডিজিটাল কপিটির লিংক যদি পাওয়া যায় খুবই খুশি হব। অগ্রিম অনেক অনেক ধন্যবাদ জানালাম।

    ReplyDelete
  4. Ei anandamela gulo gem .proytekta golpo ,chara,uppanas asadharan.

    ReplyDelete
  5. দারুন সব অলঙ্করন।পুরো পত্রিকা টা দেখার ইচ্ছে রইল।অনেক ধন্যবাদ।

    ReplyDelete
  6. ei boigulor proti ekta alada valo laga ache.sarabochor dhore poysa jomatam eipujabarshiki gulo kinbo bole.purono khoborer kagajer dokandar ke dhortam purono sankha kenar jonno.barite ekta durghatanay sab collection pure jay.aj kotaho eformat pele tar moddhe purano boier gandha khojar chesta kari.
    thank you ei sonkhar jonno.

    ReplyDelete
  7. পুজোর আগে সেরা উপহার ।

    ReplyDelete
  8. I am a regular admirer of Dhulokhela Blog. Thanks so much for the incredible work that you do. Sent an email request too listing my work.

    ReplyDelete
  9. আপণার LINK পাঠাণোর অপেক্ষায় রইলাম, আশাকরি নিরাশ করবেন ণা.....

    ReplyDelete
  10. Absolute treasure. I hope there is more waiting for us. Thanks a ton

    ReplyDelete
  11. Pujoy ei bochhor covid er bhoye ghorar ichchhe tai chole gechhe, ei boitar permission request pathiyechhi, Jodi request accept koren, tahole khub bhalo hoy.

    ReplyDelete
  12. ছোটবেলার অনবদ্য স্মৃতি , অনেক অগ্রিম ধন্যবাদ। বইটির প্রতি উপন্যাস আলাদা আলাদা ভাবে আজ কালজয়ী বই।

    ReplyDelete
  13. Aha ki sob din chilo..all classic novels...pagoler moton wait kortam..sei sob smriti abar phire elo..thank you Sujitda...apni Subho Bijoya -r onek subheccha neben... Dhulokhela aro egiye choluk ei kamona kori..

    ReplyDelete
  14. Anek dhonyobaad .. bhuture ghori bhison priyo upnyas : papiya

    ReplyDelete
  15. Hello,
    In spite of contributing did not get access.

    Please provide access at the earliest.

    Regards.

    ReplyDelete
  16. এই পুরানো সংখ্যাটি আমার কাছে ছিল কিন্তু দীর্ঘকাল ঘরে না থাকার দরুন পোকায় কেটে ঝুরিভাজা করে দেয় । ফেলে দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না । এখন এইটি আবার পড়তে পারব দেখে খুব আনন্দিত হলাম। পাতাগুলো এত সুন্দর ঝকঝকে ছাপা যে মনে হবে একদম নতুন পড়ছি । ধুলোখেলাকে ধন্যবাদ জানাই তাঁদের পরিশ্রমের জন্য ।

    ReplyDelete
  17. Apurba. Eta amar para prothom anandamela pujosankhya. Anek dhanyabad.

    ReplyDelete
  18. Amazing.....I don't feel to read Anandamela now a days because i simply can't find the stories interesting but these old stories i can go through again and again.

    ReplyDelete
  19. এই সব স্মৃতি অমর। ধন্যবাদ ধুলোখেলা।

    ReplyDelete
  20. Ei boigulor sathe purono smiriti joriye ache. Link paoyar opekhkhay roilam...

    ReplyDelete
  21. Requesting access of the file. Sincerely, Kaushik Banerjee

    ReplyDelete
  22. This comment has been removed by the author.

    ReplyDelete
  23. অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

    ReplyDelete
  24. Requesting access of the file.

    ReplyDelete
  25. download karar jonyo ki korte hobe?

    ReplyDelete
  26. This comment has been removed by a blog administrator.

    ReplyDelete
  27. আপনাদের প্রয়াস (ধুলোখেলা) বেশ ভালো লাগছে, আমি একজন মধ্য বয়সী মানুষ, ইন্টারনেট এ ততো সড়গড় ও নই| বাংলা সাহিত্য ও কমিক্স এর গুণগ্রাহী পাঠক| এই জানালা দিয়ে (ধুলোখেলা ব্লগ) আমার হতো আর হারিয়ে যাওয়া ছোট বেলার কিছু টুকরো ছবি খুঁজে পেলাম| অনেক ধন্যবাদ, তবে দুঃখ ও রয়ে গেলো, অনেক গুলি বই পূজাবার্ষিকী ডাউনলোড করতে পারলাম না বলে, সম্ভব হলে অনুমতি দিয়ে আনন্দিত করবেন| আজকের দিনে পুরোন দিনের মতো শক্তিশালী লেখক নেই, নেই সেই মানের প্রকাশনা সংস্থা, আর নতুন প্রজন্মের বাংলা বইয়ের পাঠক ও হারিয়ে যাচ্ছে, আপনাদের ব্যাতিক্রমী প্রয়াস এ উজান বয়ে যান , আর কিছু নির্মল আনন্দ বিষাদপূর্ণ সমকাল এর নতুন নাগরিক দের মনকে খানিক ক্ষনের জন্যেও হাসিতে ভোরে দিক| আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইলো | বিনীত কৌশিক কুন্ডু (ব্যান্ডেল)|

    ReplyDelete
    Replies
    1. আপনার আন্তরিকতা মন ছুয়ে গেল। কিন্তু কয়েকজনের সীমিত ক্ষমতাতে এই বিশাল কর্মযজ্ঞ বেশি দূর নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই ইনভ্লবমেন্ট বাড়াবার জন্য ১০ দফা কাজ দিয়েছি। যারা এগুলো করবে, তাদেরকে এই বিশেষ বই গুলো দেবো। সবার জন্য এক নিয়ম হওয়া উচিত। তাই খারাপ লাগলেও শেয়ার করতে পারছি না। দেখুন না যদি এই কাজ গুলোর কোনো কিছুতে অংশ নিতে পারেন। এই লিঙ্কে ডিটেইলস দেওয়া আছে -
      https://dhulokhela.blogspot.com/p/blog-page_226.html

      Delete
  28. অসংখ্য ধন্যবাদ এই গ্রুপকে।

    ReplyDelete
  29. ডাউনলোড করতে পারছি না। ACCESS DENIED মেসেজ আসছে। REQUEST ACCESS-এ ক্লিক করেও e-mail পাচ্ছি না। কি করব বলে দিন।

    ReplyDelete
    Replies
    1. রিকোয়েস্ট একবার পাঠানোই যথেষ্ট। রিপ্লাইয়ের জন্য অপেক্ষা করুন।

      Delete
  30. পুস্তক পর্যালোচনা
    আনন্দমেলা পূজাবার্ষিকী ১৩৯০
    প্রথমত, ধন্যবাদ জানানোর কোনো ভাষা নেই টিম ধুলোখেলাকে। আমাদের ছোটবেলার নস্টালজিয়াকে তাঁরা একের পর এক তুলে এনেছেন পরম যত্নে। এই বইটির ক্ষেত্রে যাঁদের অবদান স্মরণ করতেই হয় তাঁরা হলেনঃ
    ব্রতীশ সরকার ও রাজর্ষী সরকার (হার্ডকপি দিয়েছেন), মাধব রায় (স্ক্যান করেছেন) ও সুজিত গুহ (এডিট করেছেন)।
    আমার ব্যক্তিগত মত হল, আনন্দমেলার স্বর্ণযুগের যে পূজাবার্ষিকীগুলি রয়েছে তার মধ্যে এটি অন্যতম। সেইসময়ের বাংলা সাহিত্যের দিকপাল লেখকরা তো আছেনই, চমৎকার সব শিল্পীদের অলঙ্করণে সমৃদ্ধ এই পূজাবার্ষিকী। পাঠকের ধৈর্যচ্যুতি না ঘটিয়ে অল্পকথায় লিখতে চেষ্টা করি।
    প্রথমেই মন খুশি হয়ে ওঠে বিমল দাশের অসাধারণ প্রচ্ছদটি দেখলে। পাতায় পাতায় অলঙ্করণে মন ভরিয়েছেন সমীর মন্ডল, অনুপ রায়, সুনীল শীল, শেখর রায়, দেবাশিস দেব, সত্যজিৎ রায়, সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায়, জয়ন্ত ঘোষ, নির্মলেন্দু মন্ডল, অহিভূষণ মালিক প্রমুখ বাঘা বাঘা শিল্পীরা।
    উপন্যাস
    আশ্চর্যন্তু ঃ সত্যজিৎ রায়
    সেইসময়ের আনন্দমেলা পূজাবার্ষিকীর একটা মুখ্য আকর্ষণ ছিল সত্যজিৎ রায়ের শঙ্কু কাহিনী। এই উপন্যাসটি অতীব জনপ্রিয়। পরে কমিকসও হয়েছে। প্রফেসর শঙ্কু একদিন পেলেন এক নাম না জানা আশ্চর্য জানোয়ার। তাকে দেখতে কিছুটা বাঁদরের মত হলেও সে বাঁদর নয়। প্রফেসর জন্তুটির নাম দিলেন ‘ইয়ে’। তার অদ্ভুত ক্ষমতার কথা ক্রমশ জানা যায়। জার্মানির প্রাণীবিদ্যা বিশারদ ফ্রিডরিশ একহার্টের আমন্ত্রণে শঙ্কু ইয়েকে নিয়ে রওনা দিলেন জার্মানি। তারপর? ভয়ঙ্কর বিপদ অপেক্ষা করে ছিল শঙ্কু ও ইয়ের জন্য। কীভাবে রক্ষা পেলেন তাঁরা? পড়ে ফেলুন বা আবার পড়ে ফেলুন রুদ্ধশ্বাস উপন্যাসটি। সঙ্গে রায়মশাইয়ের দুর্ধর্ষ ছবি।
    খালি জাহাজের রহস্য ঃ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
    এটিও সুনীলের একটি বিখ্যাত উপন্যাস। সুন্দরবনের নদীতে ভাসতে ভাসতে বাঘমারা ফরেস্টে এসে ঠেকেছে একটা বিদেশি লঞ্চ। চমৎকার সাজানো-গোছানো, কিন্তু খালি। কাকাবাবু চললেন সন্তুকে নিয়ে লঞ্চের রহস্যভেদে। কেন তিনি এত কৌতুহলী হয়ে উঠলেন? কে ইঙ্গমার স্মেল্ট? সুন্দরবনের ডাকাত আর চোরাচালানকারীদের হাতেও পড়তে হল কাকাবাবুদের। শেষপর্যন্ত রহস্যভেদ হল খালি জাহাজের? বারবার পড়ার মত এই উপন্যাস।
    ভূতুড়ে ঘড়ি ঃ শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
    দাদুর তিনশো বাইশটা ঘড়ি হারিয়ে যাওয়া বা চুরি যাওয়ার পর তিনশো তেইশ নম্বর ঘড়িটা দেখা গেল ভারী অদ্ভুত প্রকৃতির। তার ভেতর থেকে নাকি গানবাজনা শোনা যায়। কারা সব অদ্ভুত কথা বলে। রামরাহা র্যা।ডাকালি বুত বুত ইত্যাদি। জটাই তান্ত্রিক আর নিত্য দাস বৈষ্ণবের এইসব নিয়ে গন্ডগোল। ওদিকে বাতাসে আবার গর্ডন সাহেবের চুরুটের গন্ধ। কে অজ্ঞান করল জটাই তান্ত্রিককে? জ্ঞান আসার পর জটাই বললে, লুলু, রামরাহা, নানটাং, রিকি রিকি। লাটুর সঙ্গে দেখা হল রামরাহার? ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে পৃথিবী। লাটু পারবে বাঁচাতে?

    ReplyDelete
  31. ঋভুর শ্রাবণ ঃ বুদ্ধদেব গুহ
    অদ্ভুত মায়াময় আবেশ জড়ানো এক উপন্যাস, যা প্রকৃতিকে ভালবাসতে শেখায়, মানুষকে ভালবাসতে শেখায়। ঋভু, বুলবুলি, পন্ডিতমশায়, ঋভুর মা, জ্যাঠা প্রতিটি চরিত্রই জীবন্ত। হতদরিদ্র বুলবুলিপাগলি কিশোর ঋভুর চেয়ে সামান্যই বড়, কিন্তু জীবন সংগ্রামে লড়তে লড়তেও তার মুখের মিষ্টি হাসিটি অক্ষুণ্ণ। শ্রাবণের আকাশের ছায়া পড়ে পাঠকের মনেও।
    সেই গাড়ির খোঁজে ঃ সমরেশ বসু
    খুদে গোয়েন্দা গোগোলের চোখের সামনেই ঘটে গেল এক ব্যাঙ্ক ডাকাতি। ডাকাতরা পালালো খয়েরি রঙের একটা গাড়িতে। দিনকয়েক পরে গোগোলের চোখে পড়ল সেই গাড়িটা। তারপর? স্বভাব-অনুসন্ধিৎসু গোগোল গাড়ির খোঁজে গিয়ে পড়ে গেল ভয়ংকর বিপদের মধ্যে।
    দুঃসাহসী দুই বুড়ো ঃ শৈলেন ঘোষ
    মূলত বেশ ছোটদের জন্য হলেও, এই উপন্যাস সবারই ভাল লাগবে। দুই বুড়ো, লোতিসাবা আর জোরুতসি, দেশের অত্যাচারী রাজার নৃশংসতার শিকার। একদিন আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে রাজ্যটাই গেল ধ্বংস হয়ে। রাজাও পালালো। দুই বুড়োর সঙ্গে রাজার দেখা হয়ে গেল এক পোড়ো বাড়িতে। তারপর? দুই বুড়ো প্রতিশোধ নেবে? নাকি জীবনের আরো কিছু আনন্দ অপেক্ষা করে আছে তাদের জন্য?
    বড় গল্প
    স্বপ্নের রেলগাড়ি ঃ আশাপূর্ণা দেবী
    রোজ ভোরে ভয়াল একটা স্বপ্ন দেখছেন পিনাকী রায়। রেলগাড়ি ছুটতে ছুটতে পড়ল দুর্ঘটনায়। পিনাকী রায় যেন প্রকান্ড এক কবরখানায়। অগুন্তি কবর ওপর থেকে দুলছে সারি সারি পা। কেন এমন স্বপ্ন দেখেন তিনি? এ কোন অশুভ সংকেত?
    নিজের ঢাক নিজে পেটালে ঃ সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
    বড়মামার খেয়াল হল নিজের জন্মদিন ঢাকঢোল বাজিয়ে পালন করবেন। নেমন্তন্ন করে খাওয়াবেন। তবে মানুষকে নয়। গরু-ছাগল-কুকুর-বিড়াল-পাখিকে। মেজমামা সমানতালে উৎসাহ দিলেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল পশুদের নেমন্তন্ন করে খাওয়ানোর বিস্তর ঝামেলা। অগত্যা পরিকল্পনা পরিমার্জন করতে হল। মানুষরাই আসবেন খেতে। ভালয়-ভালয় মিটলো তো সব?
    এ ছাড়াও রয়েছে একুশটি দুর্দান্ত সব গল্প। নানাস্বাদের। প্রথিতযশা সাহিত্যিকদের। আমার বিশেষ করে ভাল লেগেছে বিমল কর, সমরেশ মজুমদার, মঞ্জিল সেন, সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়, তারাপদ রায়ের গল্প। বাকিগুলিও চমৎকার।
    রয়েছে দারুণ একটি কমিকস ওয়াল্ট ডিজনির ‘অদৃশ্য প্রহরী’। রয়েছে অজস্র কবিতা ও ছড়া। খেলাধুলো ও অন্যান্য বিষয়।
    আর দেরি কেন। পড়তে থাকুন আনন্দমেলা পূজাবার্ষিকী ১৩৯০।

    ReplyDelete
  32. etar access dile khub upokar hoy.

    ReplyDelete
  33. eta chhilo amar kache...jol soak kore nosto hoye gechhe...oh ki osadharon kaj korchhen apnara...vabte parchi na

    ReplyDelete
  34. please accept the access request.

    ReplyDelete

Please encourage if you like our posts.